ধর্মশাস্ত্র
মরমনের পুস্তক সম্পর্কে একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা


মরমনের পুস্তক সম্পর্কে একটা সংক্ষিপ্ত বর্ণনা

মরমনের পুস্তকটা প্রাচীন আমেরিকার মানুষের একটা পবিত্র নথি এবং এটা ধাতুর ফলকে খোদাই করা হয়েছিলো। যে উৎসগুলো থেকে এই নথিটা সংকলিত হয়েছিলো সেগুলো নিম্নে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে:

  1. নেফীর ফলক, যেগুলো ছিলো দুই ধরনের: ছোট ফলকসমূহ এবং বড় ফলকসমূহ। প্রথম উল্লিখিতগুলো বিশেষভাবে আধ্যাত্মিক বিষয় এবং ভাববাদীদের পরিচর্যা কাজ ও শিক্ষার জন্য নিবেদিত ছিলো, যখন পরবর্তীগুলো বেশিরভাগই মানুষের জাগতিক ইতিহাস দ্বারা অধিষ্টিত ছিলো (১ নেফী ৯:২–৪)। মশিয়াহের সময় থেকে, তবে, বড় ফলকগুলোতেও বিশেষ আধ্যাত্মিক গুরুত্বের জিনিসগুলো অন্তর্ভুক্ত ছিলো।

  2. মরমনের ফলকসমূহ, যা নেফীর বড় ফলকসমূহ থেকে মরমনের দ্বারা একটা সংক্ষিপ্তকরণ নিয়ে গঠিত, তার নিজের অনেক মন্তব্য সহ। এই ফলকগুলোতে মরমনের ইতিহাসের ধারাবাহিকতা এবং তাঁর পুত্র মরনীর সংযোজনও রয়েছে।

  3. এথরের ফলকসমূহ, যা যেরদীয়দের ইতিহাস উপস্থাপন করে। এই নথিটা মরনীর দ্বারা সংক্ষিপ্তকরণ করা হয়েছিলো, যে তাঁর নিজের মন্তব্য সন্নিবেশিত করেছিলেন এবং “এথরের পুস্তক” শিরোনামে মূল ইতিহাসের সাথে নথিটা যুক্ত করেছিলেন।

  4. পিতলের ফলকসমূহ ৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে যিরূশালেম থেকে লেহীর লোকেরা এনেছিলেন। এর মধ্যে ছিলো “মোশির পাঁচটি পুস্তক, … এবং শুরুর থেকে যিহূদীদেরও একটা নথি, … যিহূদার রাজা, সিদিকিয়ের রাজত্বের শুরু পর্যন্ত; এবং পবিত্র ভাববাদীদের ভবিষ্যদ্বাণীও” (১ নেফী ৫:১১–১৩)। এই ফলকগুলো থেকে অনেক উদ্ধৃতি, যিশাইয় এবং বাইবেল ও বাইবেল ছাড়াও অন্যান্য ভাববাদীদের উদ্ধৃতি, মরমনের পুস্তকে দেখা যায়।

মরমনের পুস্তকটা পনেরটা প্রধান অংশ বা বিভাগ নিয়ে গঠিত, যা একটা ব্যতিক্রম নিয়ে পুস্তক হিসাবে পরিচিত, সাধারণত সেগুলো প্রধান লেখকের নাম দ্বারা নামকরণ করা হয়েছে। প্রথম অংশটা (প্রথম ছয়টা পুস্তক, ওমনী দিয়ে শেষ) হলো নেফীর ছোট ফলক থেকে একটা অনুবাদ। ওমনী ও মশিয়াহের পুস্তকগুলোর মধ্যে একটা সন্নিবেশ রয়েছে যাকে বলা হয় মরমনের বাক্য। এই সন্নিবেশটা ছোট ফলকগুলোতে খোদাই করা নথিটাকে বড় ফলকসমূহে মরমনের সংক্ষিপ্তকরণের সাথে সংযুক্ত করে।

দীর্ঘতম অংশ, মশিয়াহ থেকে মরমন অধ্যায় ৭ পর্যন্ত, হলো নেফীর বড় ফলকসমূহে মরমনের সংক্ষিপ্তকরণের অনুবাদ। সর্বশেষ অংশটা, মরমন অধ্যায় ৮ থেকে পুস্তকের শেষ পর্যন্ত, মরমনের পুত্র মরনী দ্বারা খোদাই করা হয়েছিলো, যিনি, তাঁর পিতার জীবনের নথি সমাপ্ত করার পরে, যেরদীয়দের নথির সংক্ষিপ্তকরণ করেছিলেন (এথরের পুস্তক হিসেবে) এবং পরে অংশগুলো যুক্ত করেছিলেন, যা মরনীর পুস্তক হিসাবে পরিচিত।

প্রায় ৪২১ খ্রীষ্টাব্দে বা তার কাছাকাছি সময়ে, মরনী, নেফীয় ভাববাদী-ইতিহাসবিদদের মধ্যে সর্বশেষ, পবিত্র নথিটা মুদ্রাঙ্কিত করেছিলেন এবং প্রভুর কাছে লুকিয়ে রেখেছিলেন, যা শেষ কালে সামনে আনা হবে, যেমনটা ঈশ্বরের কণ্ঠস্বরের দ্বারা তাঁর প্রাচীন ভাববাদীদের মাধ্যমে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিলো। ১৮২৩ খ্রীষ্টাব্দে, এই একই মরনী, তখন একজন পুনরুত্থিত ব্যক্তি, ভাববাদী যোষেফ স্মীথের সাথে দেখা করেন এবং পরবর্তীকালে তাকে খোদাই করা ফলকগুলো প্রদান করেন।

এই সংস্করণ সম্পর্কে: মূল শিরোনাম পৃষ্ঠা, বিষয়বস্তুর পৃষ্ঠার ঠিক আগে, ফলকগুলো থেকে নেওয়া হয়েছে এবং এটা পবিত্র পাঠ্যের অংশ। একটা নন-ইটালিক সংখ্যাতে সূচনা, যেমন ১ নেফীতে এবং মশিয়াহ অধ্যায় ৯-এর ঠিক আগে, এটাও পবিত্র পাঠ্যের অংশ। ইটালিকে সূচনা, যেমন অধ্যায়ের শিরোনাম, পাঠ্যের মূল নয় কিন্তু পড়ার সুবিধার জন্য অধ্যয়ন সাহায্য সংযুক্ত করা হয়েছে।

ইংরেজিতে প্রকাশিত মরমনের পুস্তকের অতীত সংস্করণগুলোর পাঠ্যতে কিছু ছোটখাটো ত্রুটি স্থায়ী হয়েছে। এই সংস্করণে এমন সংশোধন রয়েছে যা প্রাক-প্রকাশনার হস্তলেখনের সাথে উপাদানটাকে সম্মত করার জন্য উপযুক্ত বলে মনে হয় এবং প্রাথমিক সংস্করণ ভাববাদী যোষেফ স্মীথের দ্বারা সম্পাদিত করা হয়েছিলো।

Print