ধর্মশাস্ত্র
সূচনা


সূচনা

মরমনের পুস্তকটা হল বাইবেলের সাথে তুলনীয় পবিত্র ধর্মশাস্ত্রের একটা পুস্তক। এটা আমেরিকার প্রাচীন বাসিন্দাদের সাথে ঈশ্বরের কার্যসকলের একটা নথি এবং চিরন্তন সুসমাচারের পরিপূর্ণতা ধারণ করে।

পুস্তকটা অনেক প্রাচীন ভাববাদীদের দ্বারা, ভবিষ্যদ্বাণী ও দৈববানীর আধ্যাত্মিক উপহারের মাধ্যমে লেখা হয়েছিলো। সোনার ফলকে লেখা, তাদের বাক্যগুলো, মরমন নামে একজন ভাববাদী-ইতিহাসবিদ দ্বারা উদ্ধৃত এবং সংক্ষিপ্তকরণ করা হয়েছিলো। নথিটা দুটো মহান মানবসভ্যতার বিবরণ দেয়। একজন যিরূশালেম থেকে এসেছিলো ৬০০ খ্রীষ্টপূর্বাব্দে এবং পরবর্তীতে দুটো জাতিতে বিভক্ত হয়েছিলো, যারা নেফীয় ও লামানীয় নামে পরিচিত। অন্যজন অনেক আগেই এসেছিলো যখন প্রভু বাবিলের দুর্গে ভাষাগুলোকে বিভ্রান্ত করেছিলেন। এই দলটা যেরদীয় নামে পরিচিত। হাজার হাজার বছর পরে, লামানীয়রা ছাড়া সকলেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিলো, এবং তারা আদিবাসী আমেরিকানদের পূর্বপুরুষদের মধ্যে রয়েছে।

মরমনের পুস্তকে লিপিবদ্ধ করা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, প্রভু যীশু খ্রীষ্টের পুনরুত্থানের পরপরই নেফীয়দের মধ্যে তাঁর ব্যক্তিগত পরিচর্যা কাজ। এটা সুসমাচারের উপদেশাবলীসমূহের ব্যাখ্যা করে, পরিত্রাণের পরিকল্পনার একটা সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেয়, এবং এই জীবনে শান্তি পেতে এবং আগামী জীবনে অনন্ত পরিত্রাণের জন্য সকল মানবজাতিকে কি করতে হবে তা বলে।

মরমন তার লেখা সমাপ্ত করার পর, তিনি তার পুত্র মরনীর কাছে লিখিত বিবরণটা পৌঁছে দেন, যে তাতে তার নিজের কিছু কথা যোগ করেন এবং কিউমোরা পাহাড়ে ফলকগুলোকে লুকিয়ে রাখেন। ২১শে সেপ্টেম্বর, ১৮২৩ সালে, এই একই মরনী, তখন একজন মহিমান্বিত, পুনরুত্থিত সত্তা, ভাববাদী যোষেফ স্মীথের কাছে উপস্থিত হয়েছিলেন এবং তাকে প্রাচীন নথি এবং ইংরেজি ভাষায় এর নির্ধারিত অনুবাদ সম্পর্কে নির্দেশনা দেন।

অবশেষে ফলকগুলো যোষেফ স্মীথের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিলো, যিনি ঈশ্বরের উপহার এবং ক্ষমতার দ্বারা সেগুলো অনুবাদ করেছিলেন। নথিটা এখন একটা নতুন এবং আরেকটা সাক্ষী হিসাবে অনেক ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে যে যীশু খ্রীষ্ট জীবন্ত ঈশ্বরের পুত্র এবং যারা তাঁর কাছে আসবে এবং তাঁর সুসমাচারের আইন ও ধর্মানুষ্ঠানসমূহ মেনে চলবে, তারাই রক্ষা পেতে পারে।

এই নথি সম্পর্কে ভাববাদী যোষেফ স্মীথ বলেছিলেন: “আমি ভাইদের বলেছিলাম যে মরমনের পুস্তকটা পৃথিবীর যেকোন পুস্তকের মধ্যে সবচেয়ে সঠিক এবং আমাদের ধর্মের মূল পাথর, এবং একজন মানুষ এর উপদেশগুলো মেনে চলার মাধ্যমে ঈশ্বরের কাছাকাছি হবে, অন্য কোনো পুস্তকের তুলনায়।”

যোষেফ স্মীথ ছাড়াও, প্রভু আরও এগারো জনকে নিজেদের জন্য সোনার ফলকগুলো দেখতে দেন এবং মরমনের পুস্তকের সত্যতা ও ঐশ্বরিকতার বিশেষ সাক্ষী হওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। তাদের লিখিত সাক্ষ্যগুলো এখানে “তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্য” এবং “আটজন সাক্ষীর সাক্ষ্য” হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

আমরা সর্বত্র সমস্ত মানুষকে মরমনের পুস্তকটা পড়ার জন্য আহ্বান করছি, তাদের হৃদয়ে এর বাণী নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করতে, এবং তারপর খ্রীষ্টের নামে অনন্ত পিতা, ঈশ্বরের কাছে পুস্তকটা সত্য কিনা জিজ্ঞাসা করতে। যারা এই পরামর্শ অনুসরণ করে এবং বিশ্বাসের সাথে জিজ্ঞাসা করে তারা পবিত্র আত্মার শক্তি দ্বারা এর সত্যতা এবং ঐশ্বরিকতার সাক্ষ্য লাভ করবে। (মরনী ১০:৩–৫ দেখো।)

যারা পবিত্র আত্মার কাছ থেকে এই ঐশ্বরিক সাক্ষ্য লাভ করে তারা আরও একই শক্তির দ্বারা জানতে পারবে যে, যীশু খ্রীষ্ট হলেন মানবজাতির ত্রাণকর্তা, যে এই শেষ সময়ে যোষেফ স্মীথ হলেন তাঁর দৈববানী প্রকাশক ও ভাববাদী, এবং শেষ কালীন ধার্মিকদের যীশু খ্রীষ্টের মণ্ডলী হলো পৃথিবীতে আবার প্রতিষ্ঠিত প্রভুর রাজ্য, মশীহের দ্বিতীয় আগমনের প্রস্তুতিতে।

Print